'ক' নামক একটি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন চলছিল। কিন্তু দেশটির কিছু ক্ষমতালিপ্সু সেনা সদস্য ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার সামরিক আইন চলছিল। সামরিক স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দেশের ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ জনতা সভা ও মিছিল করে। কেউ ব্যানার কেউ পোস্টার বহন করে। তাদের মধ্যে এক যুবক নিজের বুকে ও পিঠে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান লিখে মিছিলে যোগ দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের পুলিশের গুলিতে সেই যুবকের জীবন অকালেই ঝরে পড়ে।
আরিফ তার পিতা-মাতার সাথে শহরে থাকে। তাদের পিতা-মাতা উভয়ই চাকুরিজীবী। শহরের পরিবেশে আরিফ তার প্রতিবেশি, বিদ্যালয় ও সহপাঠীর সহযোগিতায় ক্রমেই সামাজিক হয়ে উঠছে। অপরদিকে তার চাচাতো ভাই শরিফ গ্রামে থাকে। সেখানে সে মা-বাবা, দাদা-দাদি ও চাচাদের সাথে বসবাস করছে। তাদের চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক আদর্শেই সে বেড়ে উঠছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সোহাগ। তার বাবা একজন রিকশাচালক। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সোহাগ ঢাকা শহরে টিউশনি করে পড়াশুনার খরচ চালায়। তার বাবার প্রত্যাশা সন্তান বড় হয়ে সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হবে এবং সংসারের দুর্দশা দূর করবে। কিন্তু দূর্ভাগ্য প্রতিদিনের সেদিনও টিউশনি করে হলে ফেরার পথে সে বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এখানেই তার বাবার স্বপ্নের অবসান হয়।
কামাল তার বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সন্ধ্যাবেলায় পানির অপরূপ শান্ত প্রকৃতি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর তারা দেখে সাগরের পানি ক্রমশ ফুলে উঠছে। পানির ঢেউ তীরে এসে ভীষণভাবে গর্জন করছে। মা তাকে ভীত হতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, “এটা সমুদ্রের একটি স্বাভাবিক ঘটনা, কিছুক্ষণ পরই আবার দেখবে পানি নেমে যাবে।”
জেমস স্টিফেন এমন একটি দেশের নাগরিক যেখানে দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত। সেখানকার সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছেই দায়িত্বশীল থাকে। এমনকি রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে নির্বাচিত বলে এই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠের স্বার্থে গঠিত ও পরিচালিত হয়।
সম্প্রতি 'কোমেন' নামে একটি ঘূর্ণিঝড় উপকূলীয় জেলার উপরে আঘাত হানে। তাতে ঐ অঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপকূলীয় জেলায় নিয়োজিত জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দেন এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কারণ তিনি নিজেকে উক্ত জেলার জনগণের বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
জনাব আব্দুস সালাম বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিল্পপতি। তিনি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বত্র জনগণকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা। তার ব্যাংকের কাজ হলো জনগণের সঞ্চিত অর্থ বিভিন্ন মেয়াদে জমা রেখে ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা ও আবাসন প্রকল্পে ঋণ প্রদান করা । এছাড়াও তার ব্যাংক গ্রাহকদের সুবিধার্থে বন্ড, স্টক, শেয়ার ডিবেঞ্চার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে ।
আয়মান গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক। চাকরি না পেয়ে আত্ম-কর্মসংস্থানমূলক কিছু করার পরিকল্পনা থেকেই শেষ সম্বল পৈত্রিক জমিটি স্থানীয় একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নেয়। বাড়ির পাশের মজা পুকুরটি পরিষ্কার করে সেখানে ঋণের টাকা দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে অল্প সময়েই আর্থিকভাবে সে বেশ সচ্ছল হয়ে ওঠে।
দৃশ্য—১ঃ অনি তার বাবার সাথে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে বেড়াতে গিয়ে লক্ষ করলো মে মাস থেকে বর্ষাকাল শুরু এবং এখানকার পাহাড়ী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অনেক কম ।
দৃশ্য—২ঃ বর্তমানে অনি নিজ দেশে ফিরে লক্ষ করলো তার দেশে জুন মাসে বৃষ্টি শুরু হয়ে জুলাই মাসে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অসময়ে বন্যার কারণে এদেশের মানুষ বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দিন পার করছে।
রিয়ানা ও রাব্বির কথোপকথন—
রাব্বি : এই দুপুর বেলা ঘরে বসে কি করছিস?
রিয়ানা : আগামী সপ্তাহ থেকে টেস্ট পরীক্ষা। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে বই পড়ছি।
রাব্বি : তাহলে তো তোর এবার পরীক্ষার রেজাল্ট অনেক ভাল হবে।
রিয়ানা : ইন্টারনেট সুবিধার জন্য শুধু আমরা পাঠ্য বইয়ের উপকারই পাচ্ছি না। বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান সম্পর্কেও জানতে পারছি।
বিরল সম্মান আর শ্রদ্ধার আসনে ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু এ অর্জন সহজ পথে আসেনি। নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য, নিজের ভাষায় শিক্ষা অর্জনের রক্ষার জন্য এদেশের ছাত্রজনতা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছিল। এ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙ্গালীরা বিভিন্ন আন্দোলনের সংগ্রামী চেতনা গ্রহণ করেছিল। যার ফল আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
চোখের সামনে রাজাকার, আলবদররা সখিনার স্বামী আর সন্তানকে হত্যা করে এবং তাকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। প্রতিশোধের আগুনে প্রজ্জ্বলিত হয় সখিনা। একদিন সে বুকে পিঠে বোমা বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাক ক্যাম্পটি ধ্বংস করে দেয়। এভাবে সখিনার মতো নারীর আত্মত্যাগে রচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের আরো একটি সাফল্য গাঁথা। এমনিভাবে সর্বস্তরের বাঙালির অংশগ্রহণে গণযুদ্ধের মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ ।
আকমল সাহেব গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নির্বাচনি প্রচারকার্যে অনেক অর্থ ব্যয় করেন। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার কর্মীরা অন্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার নষ্ট এবং সভা-সমাবেশ পণ্ড করে। তিনি ভোটদান চলাকালে অবৈধভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিজ প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরেন
নবগঙ্গা নামক প্রত্যন্ত গ্রামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার ফলে ঐ অঞ্চলের নারীরা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এ চিত্র শুধু নবগঙ্গা গ্রামের নয়, সারা বাংলাদেশের। এদেশের নারীরা আজ তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের কর্ণধার পর্যায় পর্যন্ত নিজেদের সম্পৃক্ত করে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রকে উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত করেছে। শিক্ষা, প্রযুক্তি, শিল্পায়নের মতো নানা উপাদান নারীর সামাজিক জীবন ও মর্যাদার ক্ষেত্রে প্রভূত পরিবর্তন সাধন করেছে?
মাহি বাংলাদেশের সৈনিকদের নিয়ে নির্মিত একটি প্রতিবেদনের অংশবিশেষ দেখার সুযোগ পায়। সেখানে বলা হয়, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি ও দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে এ পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশী সৈন্য শহিদ হন। মাহি তার বাবার নিকট জানতে চায় বাংলাদেশ এখনও কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে কিনা। বাবা তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন।
ঘটনা-১ঃ বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট জাতীয় আয় অর্জন করে ১৪,৩৩,২২৪ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অর্জন করে ১৬,১০,৮৯৫ কোটি টাকা।
ঘটনা-২৪ বিশ্ব ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। শিল্পায়ন, কৃষি উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফলতা দেখাচ্ছে।
নূরীর বয়স তের বছর। সে স্থানীয় একটি চাতালে শ্রমিকের কাজ করে। তার ছোট ভাই রাতুল শহরে একটি কারখানায় মেকানিকের কাজ করে। চাতালের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে নূরীকে বাবা-মায়ের সাথে অন্যান্য কাজেও হাত দিতে হয়। অথচ তাদের বাবা-মা রাতুলের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে বেশ সজাগ। অপেক্ষাকৃত ভাল খাবারটা তুলে রাখা হয় রাতুলের জন্যেই ।
একটি দেশের 'ক' নামক প্রদেশের সাথে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক বৈষম্যমূলক আচরণ করে। প্রতিবাদে ঐ প্রদেশের একজন জনপ্রিয় নেতা এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকার ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, মুদ্রা, বৈদেশিক মুদ্রার হিস্যা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাহিনীসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবি পেশ করেন। শুরু হয় আন্দোলন। ফলে উক্ত নেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা দিয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু করে।
আবির তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার সাথে টিভিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখছিল। এটি ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। মুজিবনগর সরকার গঠন নিয়ে তার দেয়া বেতার ভাষণের অডিও প্রামাণ্য চিত্রটি দেখানোর সময় আবিরের বাবা বললেন, “বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্বস্ত সহচরকেও তাঁর মতই, ৭১ এর পরাজিত শক্তির নীল নকশার শিকার হতে হয়।”
দশম শ্রেণির ছাত্র সৌমিক বড়দের সাথে যেমন শ্রদ্ধা রেখে কথা বলে, সালাম দেয়, তেমনি ছোটদেরকেও স্নেহ করে। স্কুলে যাবার সময় পাশের বাড়ির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাকিবকেও সাথে নিয়ে যায়। রাকিবের বাবা লক্ষ্য করলেন তার ছেলে সৌমিকের সংস্পর্শে থেকে সত্য কথা বলতে এবং ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করতে শিখেছে। সৌমিকের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাকিব ও তার পরিবার তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ণিমার সময় ৩/৪ দিন রুমানাদের শহরের বাসার আশেপাশে ও রাস্তায় জোয়ারের পানিতে ভরে যায়। রুমানা লক্ষ্য করল প্রথম দিনে যে সময় জোয়ারের পানি আসা শুরু করে দ্বিতীয় দিন তার অনেক পর পানি উঠতে শুরু করে। এভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও জোয়ার আসার সময়ের ভিন্নতা দেখা যায়। এ বিষয়ে রুমানা তার ভূগোল শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং চাঁদের গতির কারণে এরূপ ঘটে।”
গত ২৭ জুলাই, ২০১৪ মি. ফয়সাল রহমান ব্যবসায়িক কাজে একটি দেশে যান। সেখানে তখন বর্ষাকাল। তবে গড় তাপমাত্রা ৩২° সে. এর উপরে । কিন্তু ঐ দেশের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মোট বৃষ্টির ৭৫% ভাগ এ ঋতুতেই হয়। এরপর তিনি নভেম্বরের শেষের দিকে আরেকটি দেশে যান। তখন সেখানে শীতের তীব্রতা বেশি না থাকলেও দেশটির উত্তরাঞ্চলের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হচ্ছিল।
মিসেস সোফিয়া ও তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের কথোপকথন :-
মিসেস সোফিয়া : ভাইয়া তোমার পরিষদের সবাইকে ঈদের দাওয়াত দাওনি? মাত্র তো বার জন এলেন।
চেয়ারম্যান : কেন সবাই এসেছেন। সারা দেশেই তো এ ধরনের পরিষদের সদস্য সংখ্যা একই।
মিসেস সোফিয়া : তুমি নাকি এলাকায় বিধবা ভাতা, উন্নত বীজ, সার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে ভালোই সুনাম করেছ?
চেয়ারম্যান : চেষ্টা তো করছি । তবে গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে।
জনাব রহমান একজন জনপ্রিয় আঞ্চলিক নেতা। তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি শাসকগোষ্ঠীর নিকট তাঁর অঞ্চলের জন্য দাবি করেন ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক, সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আইনসভা গঠন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ।
জনাব 'ক' এর দল নির্বাচনে জয় লাভ করলেও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। এতে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হলে তারা কঠোরভাবে দমনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ফলে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে যুদ্ধের রূপ ধারণ করে। জনাব 'ক' এ দল স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আপামর জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। অবশেষে তার দেশ স্বাধীন হয় ।
'ক' রাষ্ট্রের একটি প্রদেশের জনগণ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন করে আসছে। তাই আগামী প্রাদেশিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে কয়েকটি দল জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিতে যাচ্ছে। সংবাদপত্রে এ ধরনের একটি সংবাদ পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী নাসরিন তার পাঠ্যবইয়ের পড়া এবং নির্বাচনের সাথে এই নির্বাচনের মিল খুঁজে পেল। সেই সাথে প্রত্যাশা করল এই নির্বাচনের পরিণতি যেন পাঠ্যপুস্তকের সেই নির্বাচনের মত না হয় ।
নবাবপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে রহমত আলী চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন। কোনো ভাবেই নির্বাচন হতে দেন না। এবার সব বাধা পার করে এলাকার লোকজন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচনে উক্ত চেয়ারম্যানকে পরাজিত করতে কয়েকটি দল একত্রিত হয়ে একজনকে মনোনয়ন দেয় এবং জনগণের সামনে তারা নির্বাচন-পূর্ব বেশ কয়েকটি দফা উপস্থাপন করেন। নির্বাচনে তাদের মনোনিত ব্যক্তি জিতলেও কিছুদিন পর কর্তৃপক্ষ উক্ত নির্বাচন বাতিল করেন।
বনি এবং জনি দু'জন চাচাতো ভাই একই বাড়িতে বসবাস এবং একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। বনি সবার সাথে সুন্দর আচরণ করে। পড়ালেখা ভাল করে এবং সে নম্র ও ভদ্র। পক্ষান্তরে জনি ঠিক তার উল্টা। এমনকি বাবা মায়ের সাথেও ভাল আচরণ করে না। তাছাড়া সব সময় একটা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বা উগ্রতা তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। বনি মনে মনে ভাবে জনি তো কোনো বাজে ছেলেদের সাথে মেশে না, তাহলে দিন দিন অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে কেন।
জমির মিয়া একজন গ্রামের জনপ্রতিনিধি। তার কাজের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তিনি ঐ সমস্ত কাজের পাশাপাশি সমাজের মারামারি, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, মেয়েদের উপর অবিচার ইত্যাদি বিষয়গুলোর বিচারকার্যও তিনি সম্পন্ন করে থাকেন।
জরিনার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সন্তানটিকে নিয়ে সে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এখানে এসে সে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সেলাইয়ের কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে সে একটি সেলাই মেশিন ক্রয়ের জন্য ঋণ নেওয়ার কথা বাবা, ভাইকে বললে, তারা বলে নিজস্ব বা নিজের নামে কোনো জমি বা সম্পদ না থাকলে কোনো ঋণ পাওয়া যায় না। শেষে একটি প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু জামানত না রেখে তাকে ঋণ দেওয়ায় সে একটি সেলাই ক্রয় করে।
'ক' এলাকায় প্রায়শই গোলমাল, ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। এলাকার মানুষের মধ্যে কোনো সদ্ভাব নেই। এগুলি দেখে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে এলাকার কিছু যুবক সম্মিলিতভাবে একটি সংঘ গঠন করে। এলাকার যেখানেই অশান্তি সৃষ্টি হয় সংঘটি সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করে এবং এলাকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে। বর্তমানে ঐ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায়ও সংঘটি শান্তির দূত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
রবিন বেশ কয়েক বছর দেশের বাইরে ছিল। মাস দু'য়েক হলো সে দেশে এসেছে। বাড়িতে এসে সে বেশ কিছু শারীরিক অসুবিধা অনুভব করছে। অসুবিধাগুলো হলো শরীরের ওজন কমে যাওয়া, সবসময় শরীরে জ্বর থাকা ও ডাইরিয়া লেগে থাকা, তাছাড়া শুকনা কাশি ও ঘাড়ে ব্যথাও আছে। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ঔষধ দিতে রাজী হলেন না।
অমি তার দাদুর সাথে বসে এমন একটি যুদ্ধের তথ্যচিত্র দেখছিল যার ব্যাপ্তিকাল ছিল ১৭ দিন। এটি ছিল 'ক' রাষ্ট্র ও 'খ' রাষ্ট্রের মধ্যকার যুদ্ধ। “ক” রাষ্ট্রের একটি অংশ যুদ্ধে লিপ্ত হলেও অপর অংশটি ছিল ভীষণ বিপদের মুখে। এই বিপদের সময় তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের জাগরণ অনুভব করে এবং অধিকার রক্ষায় সচেতন হয়ে ওঠে ।
রফিক, আশরাফ, রনি, বুলবুল এরা সবাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের জীবনের পণ ছিল হয় বিজয় না হয় মৃত্যু। এদের মতো শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়। এর মাঝামাঝি তারা অন্য কিছু কল্পনা করতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের সহায়তা করার জন্য ছিল এক বিশাল কার্যক্রম যারা দেশের ভিতরে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনাসহ বিশ্বজনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছিল?
দশম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া পরীক্ষার পর তার বাবা মায়ের সাথে ময়মনসিংহে বেড়াতে যায়। সেখানে তারা একটি নদী দেখতে পায়, যার উৎপত্তিস্থল তিব্বতের মানস সরোবরে । নদীটি প্রাকৃতিক কারণে গতিপথ পরিবর্তন করে অন্য নাম ধারণ করে। এ নদীটি পরবর্তিতে চাঁদপুরের কাছে এসে অন্য একটি নদীর সাথে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এ নদীর মাধ্যমে ঐ এলাকার বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে।
ঘটনা-১: তাসরিন যে শুধু ব্যক্তিগত জিনিসের প্রতি যত্নশীল ছিল, তা নয়। সে কোনো কিছুরই অপচয় পছন্দ করে না। প্রতিদিন ক্লাস শেষে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান, লাইটের সুইচ বন্ধ করে দেয়। পানির কল খোলা দেখলে তা বন্ধ করে দেয়।
ঘটনা-২: মৃত্তিকা নিজের ব্যাপারে বেশ সচেতন। তার স্কুল ড্রেসে যেন দাগ না লাগে, সে ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। বই, খাতা, স্কুল ব্যাগ ইত্যাদির ব্যাপারেও বেশ সজাগ। সে কখনো চিপস ও অন্য খাবারের প্যাকেট যত্রতত্র ফেলে না ।
আইন | শাস্তি | দায়িত্ব ও কর্তব্য |
---|---|---|
ক | মৃত্যুদণ্ড, পাঁচলক্ষ টাকা দণ্ড | নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, নারীর ক্ষমতায়ন। |
খ | মৃত্যুদণ্ড, একলক্ষ টাকা দণ্ড | যৌতুক প্রতিরোধ আইন, নারী অধিকারের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি । |
গ | ৭ বছরের কারাদণ্ড, কিছু অর্থদণ্ডও দিতে হবে। | সুস্থ পারিবারিক শিক্ষা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচার প্রচারণা। |
বর্তমানে মগবাজারে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে কাজ চলায় ঐ এলাকার জনগণের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা হচ্ছে। হঠাৎ একদিন যাত্রীবাহী একটি বাস ফ্লাইওভারের জন্য খোড়া গর্তে পড়ে যায় এবং তিনজন যাত্রী বেশ আহত হয়। এতে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাংচুর শুরু করে। পুলিশ র্যাব এসে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
মোস্তফা সাহেব চট্টগ্রামের একজন দক্ষ ব্যবসায়ী। তিনি চিনি, কেরোসিন ও ওষুধ এর ব্যবসা করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। অন্যদিকে তার বড় ভাই কাদের সাহেবের রয়েছে কুয়াকাটায় একটি বিলাসবহুল হোটেল যা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখেন। সরকার এই দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ আয় করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবহার করেন।
কামাল ও তার ইউরোপ প্রবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বন্ধুর মধ্যে ফেসবুক চ্যাটিং হচ্ছে:
কামাল : দোস্ত, বর্তমানে তুমি কত টাকা বৃত্তি পাচ্ছ?
নূর : আগের মতই, মাসিক ১০০০ রুবল।
কামাল : বর্তমানে দুর্মূল্যের বাজারে এই অর্থ দিয়ে তোমার কী সারা মাস চলে?
নূর : হ্যাঁ, কেননা, এদেশে কেউ ইচ্ছে করলে দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে না। সব কিছুতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে।
”ক” বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিষয় শিক্ষকের সঙ্গে চট্টগ্রামে শিক্ষা সফরে এলো। মীরসরাই পৌঁছানের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের মাঝে দারুন উত্তেজনা দেখা গেল । তারা বিষয় শিক্ষককে বললো, “ম্যাডাম, এটাই কী আমাদের পাঠ্যবইয়ের পড়া পাহাড়ি অঞ্চলের অংশ বিশেষ?”, ম্যাডাম বললেন, “তোমরা ঠিকই বলেছ। তাহলে এখন বুঝতে পারলে পাঠ্যবইয়ের সাথে বাস্তব মিলে গেলে পড়া কত সহজে হয়ে যায়!”
মিঃ কামাল ও তাঁর কয়েকজন অনুসারী প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উপলব্ধি করলেন যে, এভাবে উদ্দেশ্যহীনভাবে আলোচনা না করে কতকগুলো সুনির্দিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈধ ও নিয়মমাফিক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে।
সৈকত সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় চাকুরিসূত্রে এসেছে। মালয়েশিয়ার মাথাপিছু আয় ৭,৯০০ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৬৪০ মার্কিন ডলার। (উৎস: ওয়ার্ল্ড ব্যাংক রিপোর্ট, ২০১২)। বাংলাদেশের লক্ষ্য জনসংখ্যাকে শিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পরিবার পরিকল্পনা ও অন্যান্য খাতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
“প্রভাত ফেরি, প্রভাত ফেরি আমায় নিবে সঙ্গে
বাংলা আমার বচন আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।”
আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে রাতুল আবৃত্তি করবে। তার মা কবিতাটি শেখাচ্ছেন। রাতুলের আবৃত্তি শুনে বৃদ্ধ দাদু মোশারফ সাহেবের তাঁর ছাত্র জীবনের একটি আন্দোলনের কথা মনে পড়ে গেল। ফেব্রুয়ারি মাসের সেই দিনে ঢাকা শহরে ছাত্র জনতা বিশাল মিছিল নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। শুরু হয় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ। সেই গোলাগুলিতে অনেকে শহিদ হন।
প্রথম বক্তা: স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তের জাতীয় নির্বাচনটি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
দ্বিতীয় বক্তা: হ্যাঁ, এই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য বিপুল আসন লাভ করে। কিন্তু তারা সরকার গঠন করতে চাইলেও নানা কারণে তা আর হয়নি।
প্রথম বক্তা: বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পিছনে ঐ নির্বাচন মূল সিঁড়ি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে।
রফিক সাহেব ১৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি তার সদস্যদের সাথে আলোচনা ও মতামত নিয়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক ও সেবাধর্মী কাজ করেন। এলাকায় কৃষি, গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করে থাকেন ।
জাইমা তার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনায় জানতে পারল একটি বিশ্বসংস্থা ও তার আওতাভুক্ত বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ ও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। স্যার আরও বললেন- বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সোহেল আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে নিজ বাড়িতে একটি হাঁস-মুরগির খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। মাঝারি উৎপাদনের খামারটিতে দুই তিন জন লোক কাজ করে। কিন্তু খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রয়ের জন্য শহরে আনার রাস্তা খুব খারাপ। অনেক জায়গা ভাঙ্গা ও খানাখন্দ। ফলে কম দামে সোহেল গ্রামে ডিম ও হাঁস-মুরগি বিক্রি করছে। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় তার উৎপাদন খরচও অনেক বেশি পড়ছে। লোকসানের ফলে সোহেল খামার ব্যবসা পরিবর্তনের চিন্তা করছে।
চাকুরিজীবী বাবা-মার একমাত্র সন্তান সুজন। ৯ম শ্রেণির ছাত্র সুজন বাবা মা’র আদর স্নেহ তেমন একটা পায় নি, তার বাব-মা ছোট খাট বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া করে। সুজনের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যের প্রতি উনাদের তেমন একটা খেয়াল নেই। সুজন তার ঘনিষ্ট সহপাঠী রাসেলের সাথে তার নিঃসঙ্গতা ও পারিবারিক সমস্যাগুলো আলোচনা করেছে। রাসেল সুজনকে বাবা মা মনে আঘাত পায় এমন কাজ করতে নিরুৎসাহিত করেছে এবং সুজনের বিষয়ে শ্রেণি শিক্ষক আজমল স্যারের পরামর্শ নিয়েছে। স্যার সুজনকে ডেকে এনে অনেক উৎসাহ ও আশাব্যঞ্জক পরামর্শ দিয়েছেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী যখন নারকীয় তাণ্ডব শুরু করে, তখন মশিউরের পিতা মোঃ আব্দুল মতিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেশের এ পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার অনেক বন্ধুও তার সাথে শত্রুর মোকাবেলা করেন। দেশের জন্য মশিউরের পিতার এ ত্যাগের কথা শুনে তার বন্ধুরা তাকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন ।
রিয়াদ বাবা-মার একমাত্র সন্তান। চাকুরিসূত্রে সে থাইল্যান্ডে ৩ বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসে। তার শারীরিক অবস্থা আগের মত ভাল নেই। কর্মচাঞ্চল্যতা সে হারিয়ে ফেলেছে। সার্বক্ষণিক জ্বর, পাতলা পায়খানা হচ্ছে। রিয়াদের বাবা-মা রিয়াদের এ অবস্থা দেখে চিন্তিত হন এবং দ্রুতগতিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেন। ডাক্তার রিয়াদকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলে।